২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে টেস্ট, ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড জো রুটের

বিরাট কোহলি সচিন তেন্ডুলকরের ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবে সেই আলোচনার মাঝেই জো রুট নিঃশব্দে ছুঁয়ে ফেললেন মাস্টার ব্লাস্টারের দুরন্ত একটি টেস্ট রেকর্ড।চলতি অ্যাশেজ সিরিজের ৫টি টেস্টের ৯টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জো রুট ৪১২ রান সংগ্রহ করেছেন। সিরিজে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকানো মাত্রই কিংবদন্তি তেন্ডুলকরের বিশ্বরেকর্ডে ভাগ বসান রুট। টেস্ট সিরিজে সব থেকে বেশিবার ৩০০ রানের গণ্ডি টপকানোর নিরিখে সচিনের পাশে বসে পড়েন রুট।জো রুট এই নিয়ে মোট ১৯ বার টেস্ট সিরিজে ৩০০ বা তারও বেশি রান সংগ্রহ করেন, যা যুগ্মভাবে টেস্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এতদিন এই রেকর্ড ছিল এককভাবে তেন্ডুলকরের নামে। বর্ণোজ্জ্বল কেরিয়ারে সচিনও মোট ১৯ বার টেস্ট সিরিজে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকান। সুতরাং সচিনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১৯টি টেস্ট সিরিজে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন ব্রিটিশ তারকা।রুট এই নিরিখে পিছনে ফেলে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা ও টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। লারা ও দ্রাবিড় নিজেদের টেস্ট কেরিয়ারে মোট ১৮টি করে সিরিজে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকান। চলতি অ্যাশেজ সিরিজের আগে পর্যন্ত রুট ছিলেন দ্রাবিড়-লারার সারিতে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রুট এই কৃতিত্ব অর্জনের নিরিখে আগেই টপকেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও ইংল্যান্ডের অ্যালেস্টার কুককে।

পন্টিং ও কুক টেস্টে মোট ১৭টি করে সিরিজে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকান।সব থেকে বেশিবার টেস্ট সিরিজে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকানো তারকারা:-১. সচিন তেন্ডুলকর (ভারত)- ১৯ বার।২. জো রুট (ইংল্যান্ড)- ১৯ বার।৩. রাহুল দ্রাবিড় (ভারত)- ১৮ বার।৪. ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- ১৮ বার।৫. রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)- ১৭ বার।৬. অ্যালেস্টার কুক (ইংল্যান্ড)- ১৭ বার।

জো রুট এখনও পর্যন্ত ১৩৫টি টেস্টের ২৪৭টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫০.২৯ গড়ে ১১৪১৬ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি দেশের হয়ে লাল বলের ক্রিকেটে ৩০টি সেঞ্চুরি ও ৬০টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি টেস্ট রানের মালিক রুট। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন ব্রিটিশ তারকা। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র স্টিভ স্মিথ (৩২টি) রুটের থেকে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন।

পাশাপাশি ইংল্যান্ডের তারকা বেশ বোলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং এই ম্যাচটি তার জীবনের শেষ ম্যাচ বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।